![]() |
শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা ও স্বাস্থ্য উপকারিতা |
🥛 দুগ্ধজাত খাবার:- দুধ, দই, চিজ বয়স অনুযায়ী। (চিজ কি বিস্তারিত নিচে দেওয়া আছে)
👉 ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
🥚 প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- ডিম ভালভাবে সেদ্ধ অথবা ভাজা (বয়স অনুযায়ী)।
- মাছ (রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, স্যামন ইত্যাদি নরম কাঁটাযুক্ত মাছ)
- মুরগি বা গরুর মাংস (ভালভাবে সেদ্ধ)
- ডাল, ছোলা, মসুর, মুগ ডাল
- বাদাম ও কাজু (৩ বছরের বেশি বয়সে, গুঁড়া করে বা ক্ষুদ্র টুকরো)
👉 শরীরের বৃদ্ধি, পেশি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
🍎 ফলমূল:- আপেল, কলা, কমলা, আম, পেয়ারা, পেঁপে, আঙুর।
👉 ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার সরবরাহ করে, হজম শক্তি ভালো রাখে।
🥦 শাকসবজি:- গাজর, পালং শাক, লাল শাক, বাঁধাকপি, লাউ, করলা (অল্প), মিষ্টি আলু, কুমড়া।
👉 ভিটামিন এ, আয়রন, ফাইবার শিশুদের চোখ, রক্ত ও হজমের জন্য উপকারী।
🌾শর্করা/এনার্জি সমৃদ্ধ খাবার:- ভাত, রুটি/পাউরুটি, সেমাই/সুজি, ওটস, ভুট্টা, আলু।
👉 শিশুদের খেলার ও পড়াশোনার এনার্জি যোগায়।
🥜 স্বাস্থ্যকর ফ্যাট:- ঘি (অল্প পরিমাণে), অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, মাছের তেল
👉 মস্তিষ্কের বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
✅ টিপস:
- শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্যের সাথে মিলিয়ে খাবার দিন।
- অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিন খাবারে বৈচিত্র্য রাখুন।
- বেশি পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।
বয়সভিত্তিক শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা:-
👶 ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশু
- মায়ের দুধ প্রধান খাবার।
- ভাত/সুজি/ওটস (পাতলা খিচুড়ি)।
- ডাল (পাতলা করে)।
- কলা চটকানো।
- আপেল/পেঁপে/নাশপাতি চটকানো।
- গাজর/কুমড়া সেদ্ধ করে ম্যাশ।
🧒 ১ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশু
- শক্ত খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলার সময়।
- খিচুড়ি (ডাল, ভাত, সবজি মিশিয়ে)।
- ডিম (সেদ্ধ বা অমলেট)।
- মাছ বা মুরগি ছোট টুকরো করে সেদ্ধ/ভাজা।
- দুধ, দই।
- কলা, আম, পেয়ারা, কমলা।
- সবজি স্যুপ।
👦 ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু
- বেশি এনার্জির প্রয়োজন।
- ভাত/রুটি।
- ডাল, মাংস, মাছ।
- ডিম প্রতিদিন।
- শাকসবজি (গাজর, পালং শাক, লাউ ইত্যাদি)।
- ফলমূল (আপেল, কমলা, আঙুর, কলা)।
- দুধ বা দই।
- বাদাম গুঁড়া (অল্প পরিমাণে)।
🧑 ৫ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশু
- স্কুল ও খেলাধুলার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ খাবার দরকার।
- ভাত, রুটি, ভুট্টা।
- ডিম, মাছ, মুরগি, মাংস।
- ডাল, ছোলা, সয়াবিন।
- বিভিন্ন রঙের শাকসবজি।
- মৌসুমি ফলমূল।
- দুধ, দই, চিজ।
- স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ঘি, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল)।
💡 পরামর্শ:
- শিশুর খাবার সবসময় নরম, পরিষ্কার ও তাজা রাখুন।
- ঝাল-মশলাদার, ভাজা ও জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
- একবারে না খেলে অল্প অল্প করে বারবার খেতে দিন।
চিজ (বিস্তারিত)
চিজ (Cheese) হলো দুধ থেকে তৈরি একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। 🧀
- 👉 দুধে থাকা প্রোটিন (কেসিন) জমাট বাঁধিয়ে এবং ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিজ তৈরি করা হয়।
- 👉 সাধারণত গরু, মহিষ, ছাগল বা ভেড়ার দুধ ব্যবহার করা হয়।
- 👉 এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে।
চিজের কিছু ধরন
- মোজারেলা (Mozzarella) → পিজ্জায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।
- চেডার (Cheddar) → স্যান্ডউইচ বা বার্গারে ব্যবহৃত হয়।
- পারমিজান (Parmesan) → সালাদ ও পাস্তার ওপর ছিটিয়ে খাওয়া হয়।
- কটেজ চিজ (Cottage Cheese) → হালকা ও কম ফ্যাটযুক্ত, ডায়েটের জন্য উপকারী।
চিজের উপকারিতা
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে 🦷
- শরীরকে শক্তি জোগায় ⚡
- পেশি গঠনে সহায়তা করে 💪
নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ব্লগ ফলো করুন ও অন্যদের শেয়ার করে দিন।
👤👤👤👤👤👤
আমাদের ওয়েবসাইট :-
আমাদের ফেসবুক পেজ :-
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল :-
![]() |
এক নজরে খাদ্যের সব উপাদান |
![]() |
আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা |